সন্তানের লালন-পালন (সপ্তম কিস্তি)

শিশুকে খাবারের পদ্ধতি শিক্ষা দেয়া

عن ابى حفص عمر بن ابى سلمة رضى الله عنه قال : كنت غلاما فى حجر رسول الله صلى الله عليه وسلم كانت يدى تطيش فى الصحفة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا غلام سم الله وكل بيمينك وكل مما يليك، فما زالت تلك طعمتى بعد
হযরত আমর ইবনে সালামা (রা.) বলেছেন, ছোট বেলায় আমি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে খানা খাওয়ার সময় প্লেটের এদকি ওদিক হতে খাচ্ছিলাম। এটা দেখে রাসূল (সা.) বললেন : প্রিয় বৎস! বিসমিল্লাহ পড় এবং ডান হাত দ্বারা খাও, আর তোমার সামনের দিক থেকে খাও।
দেখুন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদেরকে এ রকম ছোট ছোট বিষয়েও সতর্ক করেছেন। তাদেরকে আদব ও শিষ্টাচার শিখিয়েছেন।

শিশুকে মারধর করার মাত্রা ও নিয়ম

শিক্ষক ও পিতা-মাতা শিশুদেরকে প্রহার করতে পারবেন, যে পরিমাণ প্রহারে কোনো চিহ্ন না পড়ে। দাগ না পড়লে এতটুকু প্রহার জায়েয। আজকাল শিশুকালে এমনভাবে মারা হয়, যার ফলে রক্ত ঝরে, শরীরে দাগ পড়ে। এমনকি শিশু আহতও হয়ে পড়ে। হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.) বলেন : আমার বুঝে আসে না, এ গুনাহের ক্ষমা কীভাবে হবে? কারণ, ক্ষমা কার নিকট চাইবে? শিশুর নিকট ক্ষমা চাইলে সে তো ক্ষমা করার যোগ্য নয়। তার ক্ষমা গ্রহণযোগ্যও নয়।
হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) বলেন : কোনো শিশুকে মারার যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে গোস্বার সময় সাথে সাথে মারা উচিত নয়। বরং রাগ দূর হওয়ার পর কৃত্রিম রাগ দেখিয়ে প্রহার করা উচিত, যাতে সীমা লংঘিত না হয়।

No comments

Powered by Blogger.